হনুমান চালিসার মহিমা
হনুমান চালিসা একটি পবিত্র স্তোত্র, যা ভক্তদের জন্য শক্তি, সাহস এবং ভক্তির এক অমূল্য উৎস। এটি পাঠ করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং মন শান্ত হয়। যারা “Hanuman Chalisa Bengali PDF” খুঁজছেন, তারা এটি তাদের দৈনন্দিন প্রার্থনার অংশ করতে পারেন এবং ভগবান হনুমানের কৃপা লাভ করতে পারেন।
Table of Contents
হনুমান চালিসার উপকারিতা- Hanuman Chalisa Bengali pdf
হনুমান চালিসা পাঠ করা শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক শান্তি দেয় না, বরং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে লড়াই করার শক্তি যোগায়। এই স্তোত্রটি বাংলায় উপলব্ধ হলে ভক্তদের জন্য এটি আরও সহজ এবং হৃদয়গ্রাহী হয়। আপনি যদি খুঁজে পেতে চান, তবে এটি পড়ে ভক্তি ও সাহসের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।

হনুমান চালিসা
দোহা
শ্রীগুরু চরণ সরোজ রজ, নিজ মন মুকুর সুধার।
বরনৌ রঘুবর বিমল যশ, জো দায়ক ফল চার॥
বুদ্ধিহীন তনু জানিকৈ, সুমিরৌ পবন কুমার।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি, হরহু ক্লেশ বিকার॥
চৌপাই
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর।
জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর॥
রামদূত অতুলিত বলধামা।
অঞ্জনীপুত্র পবনসুত নামা॥
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী॥
কাঞ্চন বরন বিরাজ সুবেশা।
কানন কুন্ডল কুঞ্চিত কেশা॥
হাথ বজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ।
কাঁধে মূঁজ জেনেউ সাজৈ॥
শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন॥
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর।
রাম কাজ করিবে কো আতুর॥
প্রভু চরিত্র শুনিবে কো রসিয়া।
রাম লক্ষণ সীতা মন বাসিয়া॥
সুক্ষ্ম রূপ ধরী সিয়হি দেখাবা।
বিকট রূপ ধরী লঙ্কা জরাবা॥
ভীম রূপ ধরী অসুর সংহারে।
রামচন্দ্র কে কাজ সাভারে॥
লায় সঞ্জীবন লক্ষণ জিয়ায়ে।
শ্রী রঘুবীর হর্ষি উর লায়ে॥
রঘুপতি কীঁহি বহুৎ বডাই।
তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভাই॥
সহস বদন তুমহরো যশ গাবৈ।
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লাগাবৈ॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদী মুনীসা।
নারদ শারদ সহিত আহীসা॥
যম কুবের দিগপাল যাহাঁ তে।
কবী কোবিদ কহি সকে কাহাঁ তে॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীনহা।
রাম মিলায় রাজপদ দিনহা॥
তুমহরো মন্ত্র বিভীষণ মানা।
লঙ্কেশ্বর ভয়ে সকল জগ জানা॥
যুগ সহস্র যোজন পর ভানু।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানু॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহি।
জলধি লাঙ্ঘি গয়া অচরজ নাহী॥
দুর্গম কাজ জগত কে যে তে।
সুগম অনুগ্রহ তুমহরে তে তে॥
রাম দুয়ারে তুম রক্ষবারে।
হোত না আজ্ঞা বিনু পয়সারে॥
সব সুখ লহে তুমারি শরণা।
তুম রক্ষক কাহু কো ডর না॥
আপন তেজ সংহারে আপৈ।
তিনো লোক হাংক তে কাঁপৈ॥
ভূত পিশাচ নিকট না আভৈ।
মহাবীর যব নাম সুনাভৈ॥
নাসৈ রোগ হারৈ সব পীরা।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা॥
সঙ্কট তে হনুমান ছুড়াভৈ।
মন ক্রম বচন ধ্যান যো লাভৈ॥
সব পর রাম তপস্বী রাজা।
তিন কে কাজ সকল তুম সাজা॥
অর মনোরথ যো কোই লাভৈ।
সোই অমিত জীবন ফল পাভৈ॥
চারো যুগ প্রতাপ তুমহারা।
হই প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা॥
সাধু সন্ত কে তুম রক্ষবারে।
অসুর নিকন্দন রাম দুলারে॥
অষ্ট সিদ্ধি নব নিধি কে দাতা।
অস বর দীন জানকী মাতা॥
রাম রাসায়ন তুমহারে পাসা।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা॥
তুমহরে ভজন রাম কো পাভৈ।
জন্ম জন্ম কে দুঃখ বিসরাভৈ॥
অন্তকাল রঘু্বর পুর জাই।
যাহাঁ জন্ম হরিভক্ত কহাই॥
অর দেবতা চিত্ত না ধরৈ।
হনুমত সে সেভী সর্ব সুখ করৈ॥
সঙ্কট কাটে মটে সব পীরা।
যো সুমিরৈ হনুমত বলবীরা॥
জয় জয় জয় হনুমান গোসাই।
কৃপা করহু গুরুদেব কীনাই॥
যো শত বার পাঠ কর কোনই।
ছূটহি বন্ধি মহা সুখ হই॥
যো যহ পাঠে হনুমান চালীসা।
হই সিদ্ধি সাক্ষী গৌরীশা॥
তুলসীদাস সদা হরিচেরা।
কীজৈ নাথ হৃদয় মহঁ ডেরা॥
দোহা
পবনতনয় সঙ্কট হরণ, মঙ্গল মূর্তি রূপ।
রাম লক্ষণ সীতা সহিত, হৃদয় বাসহু সুর ভূপ॥
Awaken Your Spiritual Energy – A Journey of Faith with Hanuman Chalisa Bengali PDF
হিন্দু পুরাণে হনুমান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। রামায়ণে, হনুমান রামের সেবক, বন্ধু এবং ভক্ত হিসাবে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে।
হনুমানের মা ছিলেন অঞ্জনা দেবী এবং তাঁর পিতা ছিলেন কেশরী, বানরদের রাজা। দম্পতি বাতাসের কাছে প্রার্থনা করলে, হনুমান পুত্র রূপে তাদের খুশি করবেন। বাতাস অশুভ শক্তিকে বশ করার জন্য হনুমানকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল। তাই তাকে বাতাসের পুত্র বলা হয়।
শৈশবে, হনুমান সূর্যকে একটি ফল ভেবেছিলেন এবং তা খেতে আকাশে গিয়েছিলেন। তখন ইন্দ্র বজ্র অষ্ট্র দিয়ে হনুমানকে আঘাত করেন, একই সময়ে বায়ু ক্রুদ্ধ হন এবং প্রণবায়ু থামেন। দেবতারা ক্ষমা চাইলেন এবং হনুমানকে বর দিলেন।
হনুমানের বৈশিষ্ট্য:
আরেকটি শক্তি।
ফ্লাইট পাওয়ার।
সব ধরনের উপায়ে রূপান্তর করার ক্ষমতা।
দীর্ঘ জীবন
হনুমান সুগ্রীবের সেনাবাহিনীতে দাঁড়িয়ে রাম ও লক্ষ্মণের কাছে গেলেন। তার সমস্যা জেনে তিনি সুগ্রীবকে সাহায্য করেন।
সীতা লঙ্কায় বন্দী ছিলেন জেনে হনুমান তাকে রামের আংটি দিয়ে উৎসাহ দেন। তিনি রাবণের বাহিনীকে পরাজিত করে লঙ্কা পুড়িয়ে দেন
রাম ও রাবণের যুদ্ধে লক্ষ্মণ অজ্ঞান হয়ে গেলে, হনুমান হিমালয় থেকে জীবিত হয়ে আসেন। রামের জয়ের প্রধান কারণ হনুমান
হনুমানের বৈশিষ্ট্য:
ভক্তি: রামের প্রতি অসীম ভক্তি।
শক্তি: শারীরিক ও মানসিক শক্তি।
সেবার অভাব: ত্যাগের প্রতীক।
ধৈর্য: ধৈর্যের সাথে সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠুন।
আর ইবাদতের গুরুত্বঃ
প্রতি মঙ্গল ও শনিবার হনুমানের পূজা করা হয়।
বিখ্যাত মন্দির:
হনুমান গারি, উত্তরপ্রদেশ।
অঞ্জনাদ্রি পাহাড়, কর্ণাটক।
শ্রী হনুমান মন্দির, দিল্লি।
জয় শ্রী রাম! জয় হনুমান!
Journey to Serenity – Discover the Spiritual Power of Hanuman Chalisa Bengali PDF
Learn the Sacred Story of Hanuman Chalisa by Tulsidas – Get Hanuman Chalisa Bengali PDF Today
হনুমান চালিসা 16 শতকে বিখ্যাত কবি তুলসীদাস লিখেছিলেন। জানা যায়, তুলসীদাস ‘রামচরিতমানস’ নামে অবধ ভাষায় রামায়ণ রচনা করেন। তুলসীদাস চালিসা লিখেছিলেন কারণ সংস্কৃত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি যাতে ভক্তরা সহজেই রামভক্তি বুঝতে পারে।
Hanuman Chalisa and Varanasi: A Divine Connection – Access Hanuman Chalisa Bengali PDF Now
হনুমানের কৃপায় তুলসীদাস বারাণসীতে গঙ্গার তীরে হনুমান চালিসা রচনা করেন।
Tulsidas’s Spiritual Inspiration: The Birth of Hanuman Chalisa – Get Hanuman Chalisa Bengali PDF Now
একবার তুলসীদাস একটা বড় সমস্যার উত্তর দিতে পারেননি। একটি গল্পে আছে যে হনুমান আবির্ভূত হয়ে তাঁর ভক্তকে সাহায্য করেছিলেন যখন তিনি ভগবান হনুমানের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রী হনুমান চালিসা রচনা করেন।
What Does ‘Chalisa’ Mean? Learn Its Spiritual Significance and Hanuman Chalisa Bengali PDF
চালিসা মানে চল্লিশ। এতে মোট চল্লিশটি শ্লোক আছে তাই এর নাম চালিসা।
Feel the Power of Ram Bhakti with Hanuman Chalisa – Get Hanuman Chalisa Bengali PDF for Spiritual Growth
ভক্তদের মতে, হনুমান চালিসা হল রামের প্রতি ভক্তির প্রতীক। এই চালিসা পাঠ করার পর ভক্তরা আনন্দ অনুভব করেন। ইংরেজিতে একে বলা হয় “ভক্তিমূলক কবিতা” কিন্তু এর অর্থ ভক্তের হৃদয় স্পর্শ করে।
Hanuman Chalisa’s Spiritual Beginning: Explore Tulsidas’s Legacy – Hanuman Chalisa Bengali PDF
এই চালিশায় হনুমানের শক্তি, গতি, ভক্তি এবং ধার্মিক কাজগুলি বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিটি শ্লোকের একটি আধ্যাত্মিক অর্থ রয়েছে
Find Courage and Strength with Hanuman Chalisa – Download Hanuman Chalisa Bengali PDF for Blessings
ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে হনুমান চালিসা পাঠ করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হবে। প্রতিটি শ্লোক মনের শান্তি প্রদান করে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করে।
- ভয়, মনের শান্তির জন্য
শ্লোক: “মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী, কুমতি নিবার সুমথি কে সঙ্গীত।”
ফলাফল: ভয় ও দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পেতে এই আয়াতটি এগারোবার পাঠ করুন।
দ্রষ্টব্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে এই শ্লোকটি পড়ুন।
- শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা
শ্লোক: “নাসাই রাগ হারাই সব পিরা, জপত নির্নাথর হনুমত বিরা।”
ফলাফল: রোগ নাশ করতে এই পদটি উপকারী।
দ্রষ্টব্য শনিবার বা মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে যান, গুড় এবং চক্র অর্পণ করুন এবং পাঠ করুন।
- বিশ্বাসের জন্য
শ্লোক: “জয় হনুমান জ্ঞান গন সাগর, জয় কপিশ তিহু লোক উজাগর।”
ফলাফল: এই অবস্থান আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
দ্রষ্টব্য এই শ্লোকটি সকালে সূর্যোদয়ের সময় পাঠ করা উচিত।
- আর্থিক সমস্যা
শ্লোক: “লে সজীব লিখন জিয়ায়ে, শ্রী রঘুবীর হরশি উর লয়ে।”
ফলাফল: অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য দরকারী।
নোট করুন মঙ্গলবার ভগবান হনুমানকে মালা নিবেদন করুন এবং একুশ বার পাঠ করুন।
- ব্যবসায়িক সমস্যা
শ্লোক: “অতুলনীয় শক্তি, সোনার পাহাড়ের মতো শরীর। রামদুতের অতুলনীয় শক্তি।”
প্রভাব: এই শব্দটি বাণিজ্য বাধা ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।
দ্রষ্টব্য এই শ্লোকটি একটি নির্জন প্রদীপ জ্বালিয়ে জপ করতে হবে।
- শত্রুকে প্রতিহত করা
শ্লোক: “সংকট কাটাই মিতাই সব পিরা, জো সুমরাই হনুমত বলবীরা।”
প্রভাব: এই মন্ত্র শত্রু ভয় থেকে রক্ষা করে।
শনিবার হনুমান মন্দিরে 108 বার পাঠ করুন।
- পারিবারিক সমস্যা
শ্লোক: “সমস্ত আনন্দ তোমার আশ্রয় নেয়, তুমি ত্রাণকর্তা, কাউকে ভয় করো না।”
ফলাফল: এই স্তোত্রটি পারিবারিক একতা ও ভালবাসাকে উৎসাহিত করে।
উল্লেখ্য হনুমানকে উপবাস ফুল অর্পণ করে এই শ্লোকটি পাঠ করতে হবে।
Here is the link for your Chalisa Bengali pdf